হঠাৎ বেড়েছে পিঁয়াজের ঝাঁজ

হঠাৎ বেড়েছে পিঁয়াজের ঝাঁজ। এক দিনের ব্যবধানে কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে পণ্যটি খুচরা পর্যায়ে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে বেড়েছে ৪০ টাকা। আগের সপ্তাহে পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি বন্ধ থাকায় কয়েক মাস ধরে চাষিদের তোলা মুড়িকাটা পিঁয়াজে চাহিদা মেটানো হচ্ছিল। দেশি এ পিঁয়াজের সরবরাহও প্রায় শেষ। চাহিদার তুলনায় জোগান কমায় আবারও বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, মুড়িকাটা পিঁয়াজের মৌসুম শেষ। বেশির ভাগ এলাকার কৃষক ওই পিঁয়াজ তুলে ফেলেছেন। আর হালি পিঁয়াজের ভরা মৌসুম শুরু হতে কিছুদিন বাকি রয়েছে। মাঝখানের এ সময়ে চলছে সরবরাহ ঘাটতি। যে কারণে বাজারে দাম বাড়ছে। এদিকে আমদানির বড় বাজার ভারত থেকে পিঁয়াজ আমদানি বন্ধ। আমদানি না থাকায় কয়েক মাস ধরে আগাম জাতের এ পিঁয়াজ দিয়ে চাহিদা মেটানো হচ্ছে। ফলে দেশি এ পিঁয়াজের সরবরাহ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অন্যান্য বছর মৌসুমের এ সময়ে পিঁয়াজের দর থাকে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। কিন্তু এবার ভরা মৌসুমেও অস্বাভাবিক ওঠানামা করছে মসলাজাতীয় পণ্যটির দর। গত বুধবারও ঢাকার খুচরা বাজারে ৯০-৯৫ টাকায় বিক্রি হয় পিঁয়াজ। তবে গতকাল তা ১২০ টাকায় পৌঁছেছে। দেশি পুরনো পিঁয়াজ ১৪০ টাকা এবং ভারতীয় পিঁয়াজ ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মূলত পাইকারি বাজারে দর বাড়ার কারণে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। পাড়া-মহল্লার দোকানে প্রতি কেজি পিঁয়াজ ১৩০ টাকা দরেও বিক্রি করতে দেখা গেছে। ঢাকার শ্যামবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি পিঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকায়। পিঁয়াজ আমদানি না হওয়ার কারণ হিসেবে শ্যামবাজার পিঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে পিঁয়াজ আসছে না। অন্য দেশ থেকে আমদানি করলে কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা পড়ে। এর সঙ্গে অন্যান্য খরচ ও মুনাফা হিসাব করলে ১০০ টাকার কাছাকাছি হয়। ভারত থেকে আমদানি শুরু হলে ৪০-৪৫ টাকায় নেমে যাবে দর। তখন অন্য দেশ থেকে আনা পিঁয়াজে লোকসান গুনতে হবে ব্যবসায়ীদের। মূলত এ কারণেই তারা আমদানি করছেন না। রাজধানীর বিভিন্ন সবজির বাজারে দেখা যায়, নতুন আলুর দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মুলার কেজি ৪০ টাকা, শিম ৭০ থেকে ৯০ টাকা, ফুলকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচা টম্যাটো ৩০ টাকা, কচুরমুখি ১০০ টাকা এবং গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বেগুন ৬০ থেকে ১০০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, বরবটি ১২০ টাকায়, খিরা ৫০/৬০ টাকা, শসা ৭০ টাকা। বাজারে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। পেঁপের কেজি ৪০ টাকা, লেবুর হালি ৩০/৪০ টাকা, ধনে পাতা কেজি ১০০/১২০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকা, জালি কুমড়া ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০/৫০ টাকা, পিঁয়াজ কলি ৬০ টাকা ও কাঁচা মরিচ কেজি ৮০/১০০ টাকা। লাল শাকের আঁটি ১৫ টাকা। লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ১৫/২০ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা। চলতি সপ্তাহে আগের মতোই ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। সোনালি, সোনালি হাইব্রিড মুরগির দাম কমেছে। বাজারগুলোতে সোনালি ২৮০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৬০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

0 Comments

Your Comment