‘ওকে, আই হ্যাভ অ্যা সাজেশন’

ওকে, আই হ্যাভ অ্যা সাজেশন। উৎসব যেহেতু থাকবে, আবার এই শহরে ছোট শিশু-বয়স্ক মানুষ-রোগী-পশু-পাখিদেরও থাকতে হবে, তাহলে একটা উপায় বের করা যায়? পুরা শহরটাকে যুদ্ধক্ষেত্র না বানায়ে শহরের তিনটা জায়গা নির্দিষ্ট করে দেয়া যায়? যেখানে উৎসব করার জন্য মানুষ জড়ো হবে। আমাদের এখানে তো আর সিডনি হারবার ব্রিজের মতো কোনো জায়গা নাই। আমাদের সব জায়গাইতো আবাসিক। সেই জন্য জায়গার পাশাপাশি সময়টাও বেঁধে দেয়া দরকার! উচ্চশব্দ হয় এমন কোনো কিছু করলে এই বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে করতে হবে। তাতে করে নির্দিষ্ট করে দেয়া জায়গাগুলার আশেপাশের ভবনের মানুষেরা জানবে কোন সময়টাতে এরকম শব্দ হতে পারে এবং সেই অনুযায়ী একটা প্রস্তুতি রাখতে পারে। কালকে রাতে যেমন দুইটার পরেও চলছে এই বীভৎস তাণ্ডব! শেষ করতে চাই একটা কথা বলে, আমি আনন্দ-উৎসব এর বিরুদ্ধে না। কিন্তু ভাইয়েরা একটা কথা বলি। আমরা যখন কোনো ছাদে দাঁড়াই, আমরা কিন্তু সেখান থেকে একটা আস্ত ইট নিয়ে বাইরে দিকে ছুঁড়ে মারি না! কারণ আমরা চিন্তা করি নিচে দিয়ে হেঁটে যাওয়া কারো না কারো মাথায় এটা পড়তে পারে, একটা অ্যাকসিডেন্ট হতে পারে। এই যে আমরা এটা ভাবি, এটাই মানুষের বৈশিষ্ট্য হওয়া উচিত। আমার কোনো কাজে অন্যের ক্ষতি হতে পারে কিনা, এইটা ভাবা মানুষের বেসিক জিনিস হওয়া উচিত। সবার নতুন বছর আনন্দের হোক, এমনকি যারা কালকে আমার মেয়েকে আতংকের উপর রাখছিলেন, তাঁদেরও! বি.দ্র: একজন লিখছেন আমি নাকি সারাজীবন এটাকে সমর্থন দিয়ে এই প্রথম এটার বিরুদ্ধে লিখলাম। আমি জানিনা উনি কোথায় পাইলেন, যে অন্যের আতংক সৃষ্টি করারে আমি সমর্থন করছি। সোশ্যাল মিডিয়া মনগড়া কথা লিখার আখড়া! উনি বোধ হয় আমার কাজকর্মের খবরও রাখেন না। আমি যে সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফির মতো একটা সিনেমা বানাইছি এটা নিয়া সেটাও হইতে উনি জানেন না।

0 Comments

Your Comment