সুফি সংগীতে ফতেহ আলী খান পরিবার গত কয়েক দশক যাবত গোটা উপমহাদেশের সুরপিয়াসিদের হৃদয় নিয়ন্ত্রণ করছেন নিজেদের সুরের লহমায়। আর সেই পরিবারের সদস্য রাহাত ফতেহ আলী খান এদেশে আসবেন আর গাইবেন সেটা অবশ্যই বাংলাদেশী সংগীত সমঝদারদের জন্য নিঃসন্দেহে আরাধ্য। সুর যখন হৃদয় ছুঁয়ে যায়, ধ্যানমগ্ন করে, হৃদয়ের গহীনে ভালোবাসার অনুরণন তৈরি করে তখন সেই সুরের কারিগর অগণিত ভক্ত ও শ্রোতাদের কাছে আরাধ্যের বিষয়ই হয়ে থাকে। লাল সবুজের ভূখন্ডের সুজলা সুফলা বাংলাদেশেও পূর্ব পুরুষদের ধারাবাহিকতায় নিজেকে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন রাহাত ফতেহ আলী খান। এদেশীয় শ্রোতাদের বুকের জমিনে নিজের মজবুত ভিত্তি তৈরি করে এদেশীয় শ্রোতাদের হৃদয়পটকে রীতিমতো শাসন ও নিয়ন্ত্রণ করছেন রাহাত ফতেহ আলী খান। আর সে কারণে গত কয়েকদিন যাবত এদেশের সুরের কাঙ্গালরা রাহাত ফতেহ আলী খান জ্বরে ভুগছিলেন। শনিবার রাতে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে সুরের সমুদ্রে স্নাত হয়ে সেই জ্বর নেমে গেলো। উপমহাদেশের সংগীত কিংবদন্তি সুফি গানের দিকপাল নুসরাত ফতেহ আলী খানের ভাতিজা রাহাত ফতেহ আলী খানের সুরের মূর্ছনায় নিজেদের বিলিয়ে একাকার করে দিয়ে সংগীত ও শিল্পীর প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটালেন বাংলাদেশের সুরের তৃষ্ণার্তরা। প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে রাহাত ফতেহ আলী খান এলেন, গাইলেন, সুরের বৃষ্টিতে অগণিত শ্রোতাদের ভিজিয়ে দর্শক শ্রোতাদের মানসপটে তাল, লয় ও মেলোডির ঢেউ তুলে দিয়ে পৌষের কনকনে শীতের রাতকেও উষ্ণতার চাদরে ঢেকে দিলেন। জুলাই অভ্যুত্থানে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে পাওয়া নতুন বাংলাদেশের জন্য এক সমুদ্র সুরের ঢেউ তুলে দিয়ে ফের নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করলেন রাহাত ফতেহ আলী খান।
0 Comments
Your Comment