রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ ভবন উঠেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও ফায়ার সার্ভিসের নিয়মনীতি পুরোপুরি না মেনে। এসব ভবনে অগ্নিসংকেতের ব্যবস্থা নেই। নেই পর্যাপ্ত পানি ও আগুন নেভানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। থাকে না পর্যাপ্ত সিঁড়ি। আবার অনেক সিঁড়ি উন্মুক্ত নয়। বাণিজ্যিক ভবনে সিঁড়িতেও বসানো হয়েছে দোকানপাট-গুদাম। এসব ভবন মালিকরা ছাদে রেস্টুরেন্টসহ বাণিজ্যিক দোকান ভাড়া দিয়ে থাকেন। নেই জননিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা। এমনকি মার্কেট-শপিংমল ভবন-সংলগ্ন অবস্থায় যেখানে-সেখানে ঝুলছে বৈদ্যুতিক তার ও এসি যন্ত্রের সংযোগ। সব মিলে ঢাকার বহুতল বাণিজ্যিক ভবনগুলো অগ্নিকাণ্ড ঝুঁকিতে রয়েছে। এগুলো এক একটা যেন মৃত্যুফাঁদ। জানা গেছে, উত্তরা, বনানী, গুলশান, নিকুঞ্জ, ধানমন্ডি, বারিধারা, পল্টন, কারওয়ান বাজারসহ আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকায় অনেক বহুতল বাণিজ্যিক ভবন। এগুলোর অধিকাংশই রাজউক ও ফায়ার সার্ভিসের নির্দেশনা না মেনে তৈরি। আগুন লাগলে দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার পথ ‘ফায়ার এক্সিট’ নেই। সিঁড়ি থাকলেও সেখানে দোকান ও গুদাম হিসেবে ব্যবহারের জন্য ভাড়া দিয়ে রাখা হয়। ওঠানামার জন্য সাধারণত ব্যবহার করা হয় লিফট। সিঁড়ির ব্যবহার কম থাকায় সিঁড়িও ভাড়া দিয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ভবন মালিকরা লাভের স্বার্থে ছাদও ভাড়া দিয়ে দেন। যেগুলোর অধিকাংশই রেস্টুরেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ফলে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ছাদে যে আশ্রয় নেবে সেই সুযোগও থাকে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবন মালিকরা একটু জায়গাও ছাড়তে চান না। সিঁড়ি, ছাদ, ভবনের শেড ব্যাকসহ যে জায়গাটুকু খালি থাকে সবগুলোয় ব্যবসাকেন্দ্র। একই সঙ্গে রাখে না অগ্নিদুর্ঘটনা রোধে বিভিন্ন সরঞ্জাম। ফলে দিনকে দিন বেড়েই চলেছে আগুনের ঝুঁকি।
0 Comments
Your Comment