গত ১৫ বছরে সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল হাইয়ের আয় বেড়েছে ৫৯ গুণ। এ সময়ে তার হাতে নগদ টাকা বেড়েছে ২৭৬ গুণ। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা টাকা বেড়েছে ১১৪ গুণ। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদও বেড়েছে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা ও নবম জাতীয় নির্বাচনের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানা গেছে। ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে চারবারের এই এমপি আসন্ন সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী। রাজধানীর পূর্বাচলে সাড়ে ৭ কাঠার প্লট ও ডেমরায় ১৫ শতাংশ জমি থাকলেও তার ঘর, বাড়ি ও ফ্ল্যাট নেই। আবদুল হাইয়ের বার্ষিক আয় ১ কোটি ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। নবম সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী তার বার্ষিক আয় ছিল ১ লাখ ৭২ হাজার টাকা। ১৫ বছরে তার আয় বেড়েছে ৫৯ গুণ। বর্তমানে আবদুল হাইয়ের হাতে নগদ ২ কোটি ৭৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকা রয়েছে। নবম সংসদ নির্বাচনের সময় তার হাতে নগদ টাকা ছিল ১ লাখ। অর্থাৎ তার হাতে ১৫ বছরে নগদ টাকা বেড়েছে ২৭৬ গুণ। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আবদুল হাইয়ের ২ কোটি ৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকা রয়েছে। ১৫ বছর আগে ব্যাংকে তার ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ছিল। এ সময় ব্যাংকে তার টাকা বেড়েছে ১১৪ গুণ। বর্তমানে তার স্ত্রী সেলিনা পারভীনের হাতে নগদ ১২ লাখ টাকা রয়েছে। ১৫ বছর আগে তার হাতে ছিল ৫০ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর নামে ব্যাংকে রয়েছে ১০ লাখ টাকা। ১৫ বছর আগে ছিল ১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। বর্তমানে আবদুল হাইয়ের ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা মূল্যের দুটি জিপগাড়ি রয়েছে। ১৫ বছর আগে তার কোনো গাড়ি ছিল না। আবদুল হাইয়ের ২০ ভরি ও স্ত্রীর ৩০ ভরি সোনা রয়েছে। ১৫ বছর আগে তার স্ত্রীর কোনো সোনা ছিল না। বর্তমানে আবদুল হাইয়ের কৃষিজমির পরিমাণ ৫ বিঘা। ১৫ বছর আগে তার কৃষিজমি ছিল ৩ একর। অকৃষিজমি হিসেবে ঢাকার পূর্বাচলে ৩০ লাখ ৫৪ হাজার টাকা মূল্যের সাড়ে ৭ কাঠার প্লট ও ডেমরায় ১৮ লাখ টাকা মূল্যের ১৫ শতাংশ জমি রয়েছে। নবম সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার কোনো অকৃষিজমি ছিল না।
1 Comments
FsPJRNWtleqyLxOg
Web Developer
Your Comment