নৌকার সমর্থকদের ওপর হামলা, সামশুপুত্রের গুলি

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কুসুমপুরা ইউনিয়নে নৌকার সমর্থকদের ওপর ঈগল মার্কার নেতাকর্মীদের হামলা চালানোর ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার বিকালে ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পান্নাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ছাড়া অভিযোগ উঠেছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে নাজমুল করিম শারুন নিজ অস্ত্র দিয়ে গুলিও চালিয়েছেন। হামলায় আহতরা হলেন নৌকার সমর্থক জানে আলম (২৬), মো. মামুন (২৫), ওসমান গনি মিয়া (২৮), মো. ফাহিম (২২)। পৃথক আরেকটি ঘটনায় নৌকার সমর্থক আবদুল রাজ্জাক (২২), সিফাত (২০) ও তুহিন (২১) নামে তিন যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, কুসুমপুরা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে নৌকা ও ঈগল প্রার্থীর সমর্থকদের পৃথক দুটি পথসভা চলছিল। তখন দুই প্রার্থীর সমর্থকরা নিজ নিজ প্রতীক নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। হঠাৎ ঈগল প্রার্থীর সমর্থকরা নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর লাঠি সোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালান। ঈগল প্রার্থীর সমর্থক নুরুল ইসলাম, এমএ এজাজ চৌধুরী, আবু তৈয়ব, সালাহ উদ্দিন সরোয়ার, ফজল কাদেরের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন লাঠি-সোটাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে নৌকা সমর্থিত বেশ কয়েকজনকে আহত করেন। অপরদিকে, নৌকার সমর্থক আবদুল রাজ্জাক, সিফাত ও তুহিন পটিয়া সদরে আসার পথে উজিরপুর এবাদত খানা এলাকায় হল ওকে সেন্টারের সামনে ঈগল মার্কার সমর্থক মোজাম্মেল হক লিটনের নেতৃত্ব তাদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। নৌকার সমর্থকদের তারা অতর্কিত পিটিয়ে জখম করেন। তখন স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে ও তার প্রধান নির্বাচনি সমন্বয়কারী নাজমুল করিম শারুন নিজের অস্ত্র দিয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালান। এ ঘটনায় জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। শারুনের গুলির ঘটনাটি নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।’ উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।

0 Comments

Your Comment

Subscribe For

Weekly Newsletter

Subscribe to stay up-to-date on all the latest news