দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও অংশ নেবে না বিএনপি। তবে দলীয় প্রতীক না থাকায় নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে আগ্রহী তৃণমূলের অনেক নেতা। তাই দলের কেউ প্রার্থী হলে তাকে নিরুৎসাহ করা হবে না। দলটির স্থায়ী কমিটির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে দলীয় ফোরামে এখনো আলোচনা হয়নি। শিগগিরই স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, এ নিয়ে দলীয় ফোরামে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে পরে দলীয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দলীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে এখনো পরিষ্কার কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়নি দলটির পক্ষ থেকে। কিন্তু বিএনপির তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। তাদের কেউ কেউ যেমন সংসদ নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনও বর্জন করার পক্ষে, আবার অনেকে মনে করেন, স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে তাদের জনপ্রিয়তা তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, এ নিয়ে শীর্ষ ফোরামে আলোচনা হয়েছিল বলেই হয়তো এই আলোচনা উঠেছে। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ার কথা জানান বিএনপির ওই নেতা। জানা যায়, ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচন বর্জনের পর উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে শতাধিক উপজেলায় বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছিলেন। তারা বলছেন, জাতীয় নির্বাচন আর স্থানীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তৃণমূলের অনেক নেতার এলাকায় ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা রয়েছে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকবে। এতে বিএনপির অনেক নেতার বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে দলের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখার জন্য এবার তিনি চেয়ারম্যান পদে ভোট করছেন। তিনি বলেন, যদিও এই নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হবে না তবুও নেতা-কর্মীদের চাঙা রাখা ও ঐক্য ধরে রাখার জন্য ভোট করছেন। উপজেলা নির্বাচন সুষ্ঠু হলে জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী।
0 Comments
Your Comment