দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন তিন দল তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ সরগরম ছিল। সর্ব মহলে এ তিনটি রাজনৈতিক দল কিংস পার্টি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এর মধ্যে তৃণমূল বিএনপি ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন নির্বাচনের আগে প্রধান বিরোধী দল হওয়ারও জোড় দাবি করেছিল। কিন্তু নির্বাচনে নতুন দলগুলোর ভয়াবহ ভরাডুবি হয়। এসব দলের হেভিওয়েট প্রার্থীরাও জামানত হারান। নির্বাচনে ভরাডুবির কারণে হতাশা ও দিশাহারা এখন দলগুলোর নেতারা। হেরে ভোটের কারচুপি ও জাল ভোটসহ নানা অভিযোগ তোলেন তারা। বিএনপিবিহীন নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল হবে তৃণমূল বিএনপি ও বিএনএম। ভোটের আগে নতুন নিবন্ধিত দল দুটির নেতারা একাধিকবার এ কথা বলেছিলেন। নির্বাচনের আগে এ দল দুটি রাজনৈতিক মাঠে বেশ উত্তাপ ছড়ায়। এর মধ্যে গত বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন থেকে নিবন্ধন লাভ করে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন তৃণমূল বিএনপি। গত ১০ আগস্ট একই দিনে নতুন করে নিবন্ধন পায় বাংলাদেশ জাতীয়বাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। এ তিনটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা শমসের মবিন চৌধুরী ও তৈমূর আলম খন্দকারের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল বিএনপি এবারের নির্বাচনে ১৩৫টি আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল। নির্বাচনে দলটির ১৩৫ আসনের সব প্রার্থীই জামানত হারালেন। বিএনপির আরেক বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ আবু জাফরের নেতৃত্বাধীন বিএনএম মনোনয়ন দিয়েছিল ৫৬টি আসনে। নির্বাচনে এ দলেরও সব প্রার্থীই জামানত হারায়। আর ৭৯ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। নির্বাচনে হেরে কোনো আসন না পাওয়ায় এই রাজনৈতিক দলগুলোর শিবিরে বিরাজ করছে চরম হতাশা। এ বিষয়ে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিক তৈমূর আলম খন্দকার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমরা কি বুদ্ধির কাছে হারলাম না সরলতার কাছে, নাকি বেশি আত্মবিশ্বাসের কাছে হারলাম, নাকি জেনারেল ইবরাহীমের মতো এরকম বুদ্ধি আমাদের ছিল না। সেগুলো নিয়ে আমরা পর্যালোচনা করছি। তিনি বলেন, এ নির্বাচন হয়েছে গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট। নৌকাও গভর্নমেন্ট, স্বতন্ত্রও গভর্নমেন্ট। মনে হচ্ছে, দেশটা একদলীয় শাসনব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে। তবে তৃণমূল বিএনপি রাজনীতি করবে, মাঠে থাকবে।
0 Comments
Your Comment