জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা: মুরাদ হাসান এমপির নির্বাচনী কেন্দ্র ভাঙচুর এবং সমর্থকদের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অন্তত ১০ সমর্থক আহত হয়েছে। সোমবার রাতে সরিষাবাড়ী পৌর এলাকার তাড়িয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রানা সরকার নামে নৌকার এক সমর্থককে এ ঘটনায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জামালপুর-৪ আসনে সরিষাবাড়ী পৌরসভার শিমলাপল্লী গ্রামের তাড়িয়াপাড়া এলাকায় কয়েকদিন আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মুরাদ হাসানের ঈগল প্রতীকের একটি নির্বাচনি ক্যাম্প নির্মাণ করে তার সমর্থকরা। সোমবার রাত ৮টার দিকে তার কর্মী-সমর্থকরা ওই নির্বাচনী ক্যাম্পে যাচ্ছিলেন। ওই ক্যাম্পের সামনে পৌঁছামাত্র আগে থেকে পেতে থাকা নৌকার প্রতীকের কর্মী-সমর্থকরা লাঠি নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। হামলা চলাকালে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি ক্যাম্পের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়। এ সময় হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা: মুরাদ হাসানের অন্তত ১০ সমর্থক আহত হন। আহতরা হলেন ঈগল প্রতীকের সমর্থক কফিল সরকার, ফারুক হোসেন, রুকন মিয়াা, মুন্না মিয়া, রুবেল মিয়া, আমজাদ হোসেন, রাজিব, আতিক, সাদ্দাম হোসেন, দিলখোস মিয়া। আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত ৮ জনকে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদিকে সোমবার রাতেই হামলা এবং ভাঙচুরের ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা: মুরাদ হাসানের সমর্থক ও পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াতুল আলম মুকুল বাদী হয়ে রানা সরকারকে প্রধান আসামি করে ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জনের নামে সরিষাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মঙ্গলবার সকালে রানা সরকারকে পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় রানা সরকার নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
0 Comments
Your Comment